বেশ কিছুদিন আগে ওই কিশোরের মা নতুন একটি ফোন কিনে সেটি ছেলের জন্য ঠিকঠাক (সেটিংস) করে দিতে গিয়ে ওই মেসেজগুলো খুঁজে পান। এরপর তিনি ছেলের কাছে কী ঘটেছে, তা জানতে চান। ছেলে মায়ের কাছে ওই শিক্ষকের সঙ্গে তার সম্পর্কের কথা খুলে বলে এবং জানায়, সে পরে ওই সম্পর্কের ইতি টেনেছে।
মায়ের উৎসাহে ছেলেটি পুলিশের কাছে এ নিয়ে অভিযোগ করে, যার ভিত্তিতে শিকাগো থেকে পুলিশ ফরমেলাকে গ্রেফতার করে। সে সময় স্বামীর সঙ্গে গাড়িতে যাচ্ছিলেন এই শিক্ষক। পুলিশ যখন তাকে গাড়ি থেকে নেমে আসতে বলে, তখন ফরমেলাকে দ্বিধান্বিত দেখাচ্ছিল।
পুলিশ ফরমেলার পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর তাকে জরুরি জিনিসপত্র সঙ্গে নিয়ে তাদের সঙ্গে যেতে বলে।
ফরমেলার স্বামীকে তখন গাড়িতে বসেই পুলিশকে প্রশ্ন করতে দেখা যায়, সে কি কোথাও যাচ্ছে? উত্তরে পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘হ্যাঁ, আমরা আপনাকে সবকিছুর ব্যাখ্যা দিতে চলেছি। ফরমেলাকে পুলিশ জানায়, তার বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে এবং তাকে হাতকড়া পরিয়ে পুলিশ স্টেশনে নেওয়া হবে।
ফরমেলা তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ শুনে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। দেখে মনে হচ্ছিল, তিনি বমি করে দেবেন।
পুলিশের গাড়িতে বসে ওই শিক্ষক বলেন, আমার খুবই ভয় লাগছে। আমার স্বামী কি সঙ্গে আসবেন? আমি কি বিপদে আছি? আমার খুবই হতাশ লাগছে।
পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে এই নারী বলেন, অভিযোগকারী তাকে ‘ব্ল্যাকমেল’ করছেন। তিনি দেখতে সুন্দর বলেই তাকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে বলেও জোর দাবি করেন তিনি।
পুলিশ ফরমেলাকে আদালতে হাজির করেছে। আদালতের নথি অনুযায়ী ঘটনার বর্ণনায় ফরমেলা বলেছেন, একদিন ওই কিশোর তার ফোন হাতে পেয়ে যায়, পাসকোড দিয়ে সেটি খুলে ফেলে এবং তার ফোন থেকে নিজের ফোনে একটি বার্তা পাঠায়। এরপর তার ফোন থেকে ওই বার্তা মুছে দেয়। কিন্তু তাকে ব্ল্যাকমেল করার জন্য নিজের ফোনে ওই বার্তা রেখে দেয়।
ওই শিক্ষক দাবি করেন, তিনি দেখতে সুন্দর। তাই সবাই তার পেছনে লাগে।
ওই নারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে দুটি গুরুতর অপরাধমূলক যৌন নির্যাতনের অভিযোগ আনা হয়েছে। তবে তাকে শর্তসাপেক্ষে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
আদালত নির্দেশ দিয়েছেন, ফরমেলা স্কুল প্রাঙ্গণে যেতে পারবেন না এবং ১৮ বছরের কম বয়সী কারও সঙ্গে কোনো ধরনের যোগাযোগ রাখতে পারবেন না। তাকে চাকরি থেকে সবেতনে ছুটিতে পাঠানো হয়েছে।