রংপুর দর্শনা মোড় থেকে ভেন্ডাবাড়ী পর্যন্ত প্রায় ২৫ কিলোমিটার সড়কটি যেন এখন মৃত ফাঁদে পরিণত হয়েছে।
নিরিবিলি গ্ৰামের ভিতর দিয়ে বয়ে যাওয়া সড়ক হওয়ায় গাড়ির দ্রুত গতি ও চালকদের অসাবধানতার কারণে অহরহ ঘটছে ছোট বড়ো দুর্ঘটনা।
দিনে দিনে সড়কে মৃত্যুর মিছিল দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে। একের পর এক সড়কে সংঘটিত দুর্ঘটনায় মানুষ প্রাণ হারাচ্ছে এবং অনেকে আহত হয়ে পঙ্গুত্ব বরণ করছে।
গত ১২ ফেব্রুয়ারি মিঠাপুকুর উপজেলার রাঙ্গাপুকুর এলাকায় পিকনিক বাস ও অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত হন গোপালপুর ইউনিয়নের শাল্টিপাড়া গ্ৰামের ৯ বছরের শিশু রোহান মিয়া। এতে আহত হন আরো ২ অটোরিকশা যাত্রী।
আবারো গত ২২ মার্চ শুকরেরহাট এলাকায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত হন গোপালপুর ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য আবু তালেব।
অনেক সময় রংপুর-ঢাকা মহাসড়কের ভারী যানবাহন এই সড়কে চলাচল করার কারণেও ঘটছে দুর্ঘটনা। শুধু তাই নয় মিঠাপুকুর গড়ের মাথা থেকে ফুলবাড়ী আঞ্চলিক মহাসড়কেও ঘটছে দুর্ঘটনা।এতে স্থানীয়দের ভোগাতে হচ্ছে সীমাহীন ভোগান্তি।
স্থানীয়রা বলছেন রাস্তায় এতো পরিমাণ অটোরিকশা, মোটরসাইকেল ও সিএনজিসহ অবৈধ যানবাহন বেড়েছে যার কারণে হাটা চলাই মুশকিল। এদেরকে প্রশিক্ষণ ও লাইসেন্স এর আওতায় আনা উচিত। এদের বেপরোয়া গাড়ি চালানোই সড়ক দুর্ঘটনার প্রধান কারণ বলে মনে করছেন তারা।