বিবিসির প্রতিবেদকরা জানিয়েছেন, ৭ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্পের পর মান্দালয়ে শনিবার সকাল পর্যন্ত একাধিক মৃদু কম্পন অনুভূত হয়েছে।
আতঙ্কে শহরটির অনেক বাসিন্দাই খোলা আকাশের নিচে রাত কাটিয়েছেন। মিয়ানমারের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মান্দালয়ে প্রায় ১৫ লাখ বাসিন্দার বাস।
শনিবার সকাল পর্যন্ত মিয়ানমারের বৃহত্তম দুই শহর ইয়াংগন ও মান্দালয়ে বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট সেবা ফেরেনি।
“বিদ্যুৎ ছাড়া আমরা আমাদের ফোনে চার্জ দিতে পারছি না। তাই দূরে থাকা পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। বিদ্যুৎ না থাকলে ইন্টারনেটও ব্যবহার করতে পারছি না আমরা,” বলেছেন মান্দালয়ের এক বাসিন্দা।
বিদ্যুৎ না থাকায় রাতে উদ্ধারকাজেও বিঘ্ন ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
মিয়ানমারের জান্তাপ্রধান মিন অং হ্লাইং ভূমিকম্পে আন্তর্জাতিক সহায়তা চাওয়ার পর চীনের ইউনান থেকে ৩৭ সদস্যের একটি দুর্যোগ মোকাবেলা দল প্রতিবেশী দেশটিতে পৌঁছেছে বলে জানিয়েছে চীনা গণমাধ্যম সিসিটিভি।
অনুসন্ধান ও উদ্ধারকাজে সহায়তায় নিযুক্ত এ দলের সঙ্গে ১১২ সেট জরুরি উদ্ধার সরঞ্জামের পাশাপাশি ভূমিকম্পের আগাম সতর্কতা ব্যবস্থাপনা, ড্রোন ও সহজে বহনযোগ্য স্যাটেলাইটও রয়েছে।
শুক্রবারের ভূমিকম্প ইউনানকেও কাঁপিয়েছে, সেখানে অন্তত দুইজন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম চায়না ডেইলি।
মিয়ানামারে ত্রাণ সহায়তা পাঠিয়েছে ভারত; যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া যে কোনো ধরনের সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছে।
থাইল্যান্ডের ব্যাংককেও চলছে উদ্ধার তৎপরতা। রাতে শহরটির ক্ষতিগ্রস্ত দুটি ভবন থেকে লোকজন সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। শনিবার স্বেচ্ছাসেবকরা ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত আরও প্রায় দুই হাজার ভবন খতিয়ে দেখবেন বলে জানিয়েছে মেট্রোপলিটন কর্তৃপক্ষ।