বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করার অভিযোগে মামলায় সর্বোচ্চ সাজা সাত বছর রেখে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন করেছে উপদেষ্টা পরিষদ।
প্রেস সচিব শফিকুল আলম এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, “ এটা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের মামলার মধ্যেই থাকবে। কিন্তু আলাদা একটা সেকশনে বিচার হবে। এটা আলাদা অপরাধ না একই অপরাধ। একই আইনের আওতায় পৃথকভাবে এটা হলো।”
অর্থাৎ এ অপরাধটির অভিযোগে আলাদা করে মামলা হবে, যেটির সর্বোচ্চ শাস্তি সাত বছর করা হয়েছে।
আইনজীবীরা জানিয়েছেন, ধর্ষণের মামলায় সংজ্ঞাগত ভুলের কারণে মামলা প্রমাণিত হয় না। বেশির ভাগ মামলাতেই তদন্তকারী কর্মকর্তা বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের কথা উল্লেখ করেন, যা বিচারকে দুর্বল করে তোলে।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দা নাসরিন বিবিসি বাংলাকে বলেন, “আমাদের দেশের আইনে ধর্ষণের সংজ্ঞায় ভুল রয়েছে। প্রেমের প্রলোভন দেখানো- এটাকেও ধর্ষণের সংজ্ঞায় ঢুকিয়ে রেখেছে। অর্থাৎ এফআইআরে যখন লেখা হয় বিয়ের প্রেমের নামে প্রতারণা বা শারীরিক সম্পর্ক করা হয়েছে, এর ফলে যে ক্ষতিটা হয়েছে সেটা হলো ধর্ষণের মতো গুরুতর অপরাধকেও খর্ব করা হয়েছে।”